জয়ন্ত মিত্রের পর এবার শ‍্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কে পদ্ম ফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার পোষ্টার

28th January 2021 11:33 am বাঁকুড়া
জয়ন্ত মিত্রের পর এবার শ‍্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কে পদ্ম ফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার পোষ্টার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া খাতড়ার জয়ন্ত মিত্রের পর এবার বিষ্ণুপুরের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার পোষ্টার পড়লো। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের মটুকগঞ্জ , চক বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত ঐ পোষ্টারে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে 'দাদার অনুগামী'দের তরফে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আর সাত সকালে বিষ্ণুপুর শহর জুড়ে এই পোষ্টার ঘিরে তৈরী হয়েছে চাঞ্চল্য। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মেদিনীপুর কলেজ মাঠে বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সভায় ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আর তারপর জেলার দক্ষিণের খাতড়া শহরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ন্ত মিত্রের নামে মঙ্গলবার যেভাবে ও যেভাষায় পোষ্টার পড়েছিল, ঠিক সেই রকমই পোষ্টার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে দেখা গেল বিষ্ণুপুর শহরেও।

এই পোষ্টার বিতর্কে মুখ খুলেছেন স্বয়ং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। এই ঘটনার পিছনে সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করে তিনি বলেন, বিজেপি দেশের সর্ববৃহৎ দল। দলের উচ্চ নেতৃত্বের তরফে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। ঠিক তার আগে তাঁকে হেয় করতেই এসব করা হচ্ছে। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, তিনি এসব করতে পারেননা। পোষ্টারের বিষয়টি তার নজরে আসার পর পরই দলের কর্মীরা তা খুলে ফেলেছেন বলে তিনি জানান।

পোষ্টার বিতর্কে তাদের কোন যোগ নেই দাবি করে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর টাউন সভাপতি জয়মাল্য ঘর বলেন, বিজেপির কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। আমরা ২৫০ টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবো। একই সঙ্গে বিজেপির 'আদি বনাম নব্যে'র লড়াইয়ে ঐ দলের প্রার্থী তালিকায় থাকতে নিজেরাই এসব করছে বলে তিনি দাবি করেন।


 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।